বলপ্রয়োগমূলক শ্রমমূক্ত কর্মক্ষেত্র নীতিমালা

 ………… লিমিটেড কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে যে, কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ হওয়া উচিত সম্পূর্ণভাবে বলপ্রয়োগমূলক শ্রম মুক্ত। কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্য হলো প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সকল শ্রমিকদের মর্যাদার প্রতি লক্ষ্য রেখে সম্পূর্ণ বল প্রয়োগ কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করা।
বলপ্রয়োগমূলক শ্রম বলতে বুঝায় কোন শ্রমিকের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে দিয়ে কাজ করানো। কর্তৃপক্ষ বলপ্রয়োগমূলক শ্রমকে প্রশ্রয় দেয় না। কর্তৃপক্ষ সব সময় তাদের কর্মক্ষেত্রের পরিবেশকে বলপ্রয়োগমূলক শ্রম মূক্ত রাখতে বদ্ধ পরিকর। কর্মক্ষেত্রে নিন্মোক্ত বলপ্রয়োগমূলক শ্রম হতে পারেঃ
        ক) শ্রমিকের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজে নিয়োগ দেওয়া
        খ) কারখানায় বন্দি শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া
        গ) জোরপূর্বক লিখিত চুক্তি করা
        ঘ) যে কোন প্রকার লিখিত চুক্তি করা
        ঙ) মূল দলিল পত্র বা সরকারী কাগজ জমা রাখা
        চ) পাসপোর্ট বা নাগরিকতার সনদ জমা রাখা
        ছ) জোরপূর্বক অতিরিক্ত সময় কাজ করানো
 
র্তৃপক্ষের নীতিমালাঃ
কর্তৃপক্ষ বলপ্রয়োগমূক্ত কারখানা নিশ্চিত করতে নিন্মোক্ত নীতিমালা অনুসরণ করবেঃ
১) প্রতিষ্ঠানের যে কোন স্থানে বলপ্রয়োগমূলক শ্রম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
২) কোন শ্রমিককে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কর্মে নিয়োগ করা যাবে না।
৩) কোন বন্দি শ্রমিককে প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ করা যাবে না বা।
৪) নিয়োগের পর জোরপূর্বক কাহারো সাথে কোন লিখিত চুক্তি করা যাবে না।
৫) চাকুরীতে নিয়োগের সময় বা চাকুরীরত থাকা অবস্থায় যোগ্যতার মূল দলিল বা অন্য কোন সরকারী কাগজ পত্র জমা নেয়া যাবে না।
৬) অতিরিক্ত কাজ স্বেচ্ছাধীন। শ্রমিকের সম্মতি না থাকলে তাকে দিয়ে অতিরিক্ত সময় কাজ করানো যাবে না।
 
বলপ্রয়োগমূলক শ্রমের স্বীকার হলে শ্রমিকের করনীয়ঃ
যদি কোন শ্রমিক বলপ্রয়োগমূলক শ্রমের স্বীকার হয়, তবে সে নিন্মোক্ত পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারবে ঃ
অভিযোগ ও পরামর্শ বক্সের মাধ্যমে লিখিত অভিযোগ দিতে পারবে।
অংশগ্রহনকারী কমিটির সদস্যদের মাধ্যমে তাদের অভিযোগ কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারবে।
সরাসরি কল্যান কর্মকর্তা বা ব্যবস্থাপক (মানব সম্পদ ও কম্প্লায়েন্স) এর নিকট তথ্য প্রদান করা যেতে পারে, এক্ষেত্রে অভিযোগকারীর গোপনীয়তা রক্ষা করা হবে।
 
অভিযোগ প্রাপ্তির পর কর্তৃপক্ষের করনীয়ঃ
কর্তৃপক্ষ যদি বলপ্রয়োগমূলক শ্রমের কোন অভিযোগ পায় তবে সাথে সাথে তা তদন্ত করার ব্যবস্থা গ্রহন করিবে। তদন্তে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনানুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।  কর্তৃপক্ষ উপরোক্ত নীতিমালা মানিয়া চলিতে সকলের সহযোগীতা কামনা করে।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url